৬৭০ চীনা কোম্পানি বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে —চীনা দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব ফটোগ্রাফার

বাংলাদেশে ৬৭০ চীনা কোম্পানি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় অবস্থিত চীনা দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ইয়ান হুয়ালং।

বাংলাদেশে ৬৭০ চীনা কোম্পানি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় অবস্থিত চীনা দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ইয়ান হুয়ালং। এছাড়া ১৫টি চীনা কোম্পানির দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক হেডকোয়ার্টার্স বাংলাদেশে অবস্থিত বলে জানান তিনি। শুক্রবার পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে তিন দিনব্যাপী দ্য বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ এক্সিবিশন-২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে তিনি এসব কথা বলেন। 


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান, ইআরডির অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিসিসিআই) সভাপতি গাজী গোলাম মর্তুজা প্রমুখ। 


ঢাকায় অবস্থিত চীনা দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বলেন, ‘এসব কোম্পানি বাংলাদেশ ও চীনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার প্রধান চালিকাশক্তি। গত কয়েক দশকে চীনের এসব প্রতিষ্ঠান তাদের মেধা, সমাধান দিয়ে বাংলাদেশের সহযোগীদের সঙ্গে মিলে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন পূরণে অবদান রাখছে। এসব প্রতিষ্ঠান তাদেরকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত সহযোগীর জায়গায় উন্নীত করতে পেরেছে। চীন তাদের চাইনিজ প্রতিষ্ঠানকে আরো বেশি উৎসাহিত করবে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য। বেল্ট রোড ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছবে। প্রতিদিন আমরা প্রায় ৫০০টি ভিসা ইস্যু করছি বাংলাদেশীদের জন্য। প্রায় প্রত্যেক আবেদনকারীই ভিসা পাচ্ছে এবং তারা চীনের বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে।’


বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, ‘চীনা বিনিয়োগকারীরা তাদের প্রবল আগ্রহ দেখিয়েছেন আমাদের অর্থনীতির সম্ভাবনাকে ও দক্ষ জনশক্তিকে স্বীকৃতি দিতে। ২০০৯ সালে চীনের এফডিআই স্টক ছিল ১ দশমিক ৯ কোটি ইউএস ডলার। বর্তমানে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩৪ কোটি ডলারে এবং বিনিয়োগের আকারের দিক থেকে পঞ্চম। এছাড়া বিডায় চীনের ১৭৪টি প্রকল্প নিবন্ধিত হয়েছে। যেখানে বিনিয়োগের পরিমাণ হবে প্রায় ১২৩ কোটি ডলার। স্বাস্থ্য, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণসহ নানা সেক্টরে চীনের বিনিয়োগেরও প্রত্যাশা করেন তিনি।’ 


প্রদর্শনী চলাকালে বিসিসিসিআই ও চাইনিজ এন্টারপ্রাইজ অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (সিইএবি) যৌথভাবে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একাধিক সেমিনার, চীন ও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আলোচনা চাকরির মেলা ও ব্যবসায়ী সভা অনুষ্ঠিত হবে।

Array ( [0] => photo_56_2.gif [1] => photo_37_2.png )

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন