
সড়কে দুর্ঘটনা রোধে নওগাঁর বিভিন্ন সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকে প্রথমবারের মতো উত্তল দর্পণ (সড়ক আয়না) স্থাপন করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। জেলার নিয়ামতপুর-পোরশা আঞ্চলিক সড়কের ৯০ ডিগ্রির বাঁকে ২০টি উত্তল দর্পণ ব্যবহারে কমতে শুরু করেছে দুর্ঘটনা। উদ্যোগটিকে স্বাগত জানিয়েছে জেলার প্রতিটি সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকে উত্তল দর্পণ স্থাপনের দাবিও জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সওজ বিভাগের তথ্যমতে, মান্দা-নিয়ামতপুর-পোরশা আঞ্চলিক সড়কের দৈর্ঘ্য ৫৪ কিলোমিটার। সড়কটির যথাযথ মান ও প্রশস্ততা বৃদ্ধিতে কাজ করছে নওগাঁ সড়ক বিভাগ। বর্তমানে সড়কটির উন্নয়নকাজ চলমান। ৫৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সড়কের মধ্যে নিয়ামতপুর থেকে পোরশা অংশে রয়েছে ৩৫ কিলোমিটার। যেখানে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ২০টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০টি উত্তল দর্পণ স্থাপন করা হয়েছে।
সরজমিন ওই সড়কে দেখা যায়, গোলাকার আকৃতির উত্তল দর্পণ ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলোয় সহজেই নজর কাড়ছে যানবাহনের চালকদের। এতে সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠছে বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহনের গতি ও ছবি, যা দুই প্রান্তের চালকদেরই সহজ সতর্কবার্তা প্রদান করায় উভয়েই তাদের গতি নিয়ন্ত্রণে এনে বাঁকগুলো পেরিয়ে নিরাপদে পৌঁছে যাচ্ছে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে। ব্যস্ততম এ সড়কে উত্তল দর্পণের সুবিধা পেয়ে বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের পাশাপাশি অনেকটাই খুশি ওই রুটে বাস, সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার যাত্রীরাও।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে মান্দা-নিয়ামতপুর-পোরশা আঞ্চলিক সড়কে নিয়মিত যাতায়াত করেন ট্রাকচালক সোহাগ হোসেন। তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আগে এ সড়কের প্রতিটি বাঁকে ঝুঁকি নিয়ে চলতে হতো। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহনগুলো হর্ন দিত না। তাই প্রায়ই দুর্ঘটনা হতো। এখন উত্তল দর্পণ থাকায় সহজেই বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহন দেখা যাচ্ছে। গতি নিয়ন্ত্রণ করায় নতুন করে আর কোনো দুর্ঘটনা হচ্ছে না।’ দেশের প্রতিটি সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকে উত্তল দর্পণ স্থাপন করলে সড়ক দুর্ঘটনা শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে বলে মনে করেন তিনি।