যশোর সীমান্তে এক দশকে দেড় হাজার কেজি স্বর্ণ জব্দ

তবে স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও মূল হোতারা সব সময় থেকে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। গত এক দশকে স্বর্ণ জব্দের ঘটনায় অন্তত ৬০টি মামলা হয়েছে। এসব মামলার প্রায় অর্ধেকের বেশি বিচারাধীন এবং বিচার এক যুগের বেশি সময় ধরে চলছে। আবার বেশির ভাগ আসামি জামিনে রয়েছে। মামলায় যাদের সাজা হয়েছে প্রত্যেকেই স্বর্ণ বহনকারী। এসব মামলার তদন্তেও তেমন অগ্রগতি নেই।

যশোরের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এম ইদ্রীস আলী বণিক বার্তাকে বলেন, ‘স্বর্ণ চোরাচালানসহ সব পুরনো মামলার কাজ শেষ করার উদ্যোগ নিয়েছে বিচার বিভাগ। দ্রুতই স্বর্ণ চোরাচালান মামলার কাজ শেষ করা হবে। সাক্ষীর অভাবে এসব মামলার কাজ শেষ করতে বিলম্ব হচ্ছে। অনেক সময় তদন্ত কর্মকর্তারা রিপোর্ট জমা দিতে দেরি করেন। এ কারণেও বিচারে ধীরগতি রয়েছে।’

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, যশোর অঞ্চলে গত কয়েক বছরে সবচেয়ে বড় স্বর্ণের চালান আটক হয় ২০১৮ সালের ৯ আগস্ট। শার্শার শিকারপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা রাত ১০টার দিকে মহিউদ্দিন নামে একজনকে আটক করেন। তার কাছে থাকা একটি ব্যাগ থেকে ৬২৪টি স্বর্ণবার উদ্ধার হয়। যার ওজন ৭২ কেজি ৪৫০ গ্রাম। মামলাটি তদন্ত করে সিআইডি চার্জশিট দেয়। চার্জশিটে মহিউদ্দিনসহ নয়জনের নাম আসে। মামলাটি প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। মহিউদ্দিনসহ চার আসামি জামিনে থাকলেও বাকি পাঁচ আসামি এখনো পলাতক রয়েছে।

যশোর সীমান্ত এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গরু ব্যবসার নামে খাটাল (গোয়াল) তৈরি করা হয়। মূলত এর আড়ালে বাহকের মাধ্যমে ভারতে স্বর্ণ পাচার করা হচ্ছে। এর বিনিময়ে ভারত থেকে সমপরিমাণ ডলার বা অন্য মুদ্রা অবৈধভাবে বাংলাদেশে আনা হয়। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) মানি লন্ডারিং ইউনিটের তদন্তে উঠে আসে, সীমান্তের ওপারে স্বর্ণ চোরাচালানে অংশীদার গৌতম নামে এক ব্যক্তি। এছাড়া সেখানকার আরেক বড় কারবারির নাম নিতাই।
Array ( [0] => photo_37_2.png [1] => photo_56_2.gif )

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন