
নাটোরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সংস্কারকাজের শিডিউলে ১১ লাখ টাকার নতুন খোয়া ব্যবহারের নির্দেশনা থাকলেও ঠিকাদার ব্যবহার করছিলেন পুরনো খোয়া। সম্প্রতি হঠাৎ পরিদর্শনে গিয়ে নাটোর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এ অনিয়ম দেখতে পেয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। এতে সরকারের ১১ লাখ টাকা রক্ষা পেয়েছে। এ ঘটনায় রাজশাহীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রওনক এন্টারপ্রাইজকে চিঠি এবং সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান, উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল ওয়াদুদকে শোকজ করেছেন তিনি।
নাটোর এলজিইডি সূত্র জানায়, নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নের পণ্ডিতগ্রাম বটতলা মোড় থেকে হাড়িগাছা আবুর মোড় পর্যন্ত এক কিলোমিটার ৭০১ মিটার রাস্তা সংস্কারকাজের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় প্রায় ৫২ লাখ টাকা। সংস্কারকাজটি পায় রাজশাহীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রওনক এন্টার প্রাইজ। তবে স্থানীয় মহির উদ্দিন নামে এক ঠিকাদার কাজটি সাব কন্ট্রাক্টে নেন।
তবে শিডিউল অনুযায়ী রাস্তার পিচের স্তর তুলে ফেলে তার উপরে বালি দিয়ে দুই ইঞ্চি নতুন খোয়া দেয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাস্তার পুরনো ইট দিয়েই কাজটি করছিল। অথচ রাস্তায় দুই ইঞ্চি খোয়া দেয়ার জন্য ১১ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়। ১৭ নভেম্বর হঠাৎ ওই রাস্তায় পরিদর্শনে যান নাটোর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম। এ সময় তিনি ঠিকাদারের খোয়া চুরির বিষয়টি দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে কাজটি বন্ধ করে দেন তিনি।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রওনক এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী রায়হান হোসেন জানান, কাজটি আমি যাদের তদারকি করতে দিয়েছিলাম তারা নিম্নমানের কাজটি করেছে। আমরা শিডিউল অনুযায়ী কাজটি করব। এ ব্যাপারে সংবাদপত্রে লেখালেখি না করার অনুরোধ করেন তিনি।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, সারপ্রাইজ ভিজিটে গিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ধরা পড়েছে। নিম্নমানের কাজ বন্ধ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। তাছাড়া কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকৌশলী ও উপসহকারী প্রকৌশলীকে কারণ দর্শানো নোটিস দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রধান প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে।