
বৈশ্বিক সোস্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক ভিয়েতনামের স্থানীয় রাজনৈতিক কনটেন্ট সেন্সর করতে আরো বেশি কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে প্লাটফর্মটি বন্ধের হুমকি দিয়েছে দেশটির সরকার। অর্থাৎ ভিয়েতনাম সরকারের নির্দেশনা মেনে প্লাটফর্মে রাজনৈতিক কনটেন্ট সেন্সর করার হার না বাড়ালে দেশটিতে ফেসবুকের কার্যক্রম বন্ধ করা হবে। খবর রয়টার্স।
ভিয়েতনাম সরকারের সঙ্গে ফেসবুকের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। দেশটিতে নিজেদের প্লাটফর্মে সরকারবিরোধী কনটেন্ট নিয়ে চাপে আছে প্রতিষ্ঠানটি। এসব কনটেন্ট শতভাগ সরাতে হিমশিম খাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। এর মধ্যেই ভিয়েতনাম সরকারের পক্ষ থেকে দেশটিতে ফেসবুক বন্ধের হুমকি এল।
গত এপ্রিলে ভিয়েতনাম সরকারের অনুরোধে স্থানীয় গ্রাহকদের জন্য রাষ্ট্রবিরোধী পোস্ট সেন্সর করা লক্ষণীয় হারে বাড়িয়েছে ফেসবুক। তবে সমালোচনামূলক পোস্টগুলোতে সীমাবদ্ধতা বাড়ানোর লক্ষ্যে আগস্টে আবারো ফেসবুকের কাছে অনুরোধ পাঠিয়েছিল দেশটির সরকার।
ভারতের ‘ফেক ফিল্ডিংয়ে’ ৫ রান না পাওয়ার অভিযোগ নুরুলের |
সোস্যাল মিডিয়া জায়ান্টটির এক কর্মকর্তা বলেন, ভিয়েতনাম সরকারের সঙ্গে গত এপ্রিলে একটি চুক্তি হয়েছিল। চুক্তির আওতায় আমরা আমাদের প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছি। আমরা আশা করছি ভিয়েতনাম সরকারও একই কাজ করবে। ভিয়েতনাম সরকার আমাদের কাছে নতুন করে দেশটির কনটেন্টে সীমাবদ্ধতা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। আমরা তাদের না বলে দিয়েছি। আমাদের নিজস্ব ব্যবসা নীতিমালা আছে। বিশ্বজুড়ে সব দেশের স্থানীয় আইনের প্রতি সমর্থন রেখেই আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। আমরা যদি ভিয়েতনামের দাবি মেনে না নিই, তাহলে দেশটিতে আমাদের কার্যক্রম বন্ধ করা হবে। এ ধরনের হুমকি দিয়ে সর্বশেষ স্থানীয় কনটেন্ট সেন্সর করার অনুরোধ জানিয়েছে ভিয়েতনাম সরকার।
তিনি বলেন, ভিয়েতনামে ফেসবুকের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছে দেশটির সরকার। আমাদের বড় একটি বাজার ভিয়েতনাম। যেখান থেকে সোস্যাল মিডিয়া জায়ান্টটির আয় আসে প্রায় ১০০ কোটি ডলার।
|
শুধু ভিয়েতনামে নয়; প্লাটফর্মে বিভিন্ন অপ্রীতিকর কনটেন্ট নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থার চাপের মুখে রয়েছে ফেসবুক। বিশ্বের কয়েকটি দেশে কনটেন্ট সরাতে ব্যর্থ হওয়ায় এরই মধ্যে বড় অংকের জরিমানার মুখে পড়েছে ফেসবুক। সম্প্রতি খোদ যুক্তরাষ্ট্রেই কনটেন্ট নীতিমালা নিয়ে সিনেটরদের রোষানলে পড়েছিলেন ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ।
ফেসবুক বন্ধের হুমকি বিষয়ে ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, ফেসবুকের উচিত স্থানীয় আইন মেনে চলা ও প্রথাগত ভিয়েতনামি রীতিনীতি এবং রাষ্ট্রের বিরোধী তথ্য ছড়ানো বন্ধ করা।